ফয়সাল আজম অপু :চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের চকঝগড়ু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম। কাজের প্রায় অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছিলো। বাধা দেয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও গ্রামবাসী। অভিযোগ করা হয়, সদর মডেল থানায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এতোকিছুর পরেও বিদ্যালয় গেট বন্ধ করে তার সামনে দোকানঘর নির্মান কাজ চলমান রেখেছিলেন বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম। পরে বাধ্য হয়েই তারা জেলা প্রশাসক বরাবর কাজ বন্ধ রাখার আবেদন করেন। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় বিদ্যালয় গেট বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ কাজের। এতে আনন্দিত চকঝগড়ু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য বলেন, স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত হতে না পেরে রাগে, ক্ষোভে বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে তিনি এসব গর্হিত কাজ করছিলেন। অনেক বার মানা করতে গেলেও শুনেননি। উল্টো আমাদেরকেই নানাভাবে মামলা হামলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমরা অসহায় হয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোন সুরাহা পায়নি। অবশেষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজটি হয়েছে, এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা খুবই খুশি হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবক এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের গেট টি পূর্বের মতো পুরোপুরি উন্মুক্ত চাই। একজন শিক্ষক জানান, সভাপতি হতে না পেরে এমন অত্যাচার করছে। চেয়ারম্যানের এসব অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ। তার নিজের ক্ষমতার দাপটে এসব করছে। অথচ চেয়ারম্যান নিজেই সভাপতি থাকাকালীন সময়ে এই বিশাল গেটটি সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করে দিয়েছেন। এবিষয়ে মুঠোফোনে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার নিজের জমিতে গেইট, তাই বন্ধ করে অন্য দিকে নতুন গেইট করে দিয়েছি। কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি আরো জানান, নিজের ইচ্ছেতেই কাজ বন্ধ রেখেছি। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানা যায়।