ফয়সাল আজম অপু : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন করোনাকালে-লকডাউনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগনের সেবায় দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সততা, উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, কর্মনিষ্ঠতা, নিরহংকারী, নির্ভীক, যে কোন শ্রেণীর মানুষের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ এবং অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা সত্যিই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার বিভিন্ন শ্রেণি প্রেশার মানুষকে মুগ্ধ করেছে। এমন নির্লোভ বহুমাত্রিক কৃতিত্বের অধিকারী একজন আলোকিত মানুষ, যিঁনি মানুষ ও সমাজের জন্য নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন থেকে করোনা মুক্ত হয়ে ফিরে এসেই, আবারও মানুষকে সেবার মহাকর্মযজ্ঞের ব্যস্থতায় কাটছে তার বর্তমান সময়। সাদা মনের আলোকিত মানুষটি হলেন, আর কেউ নয়! চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন। তিনি গত ২৭-০৭-২০২০ তাং থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রশাসনের মানুষ হয়েও নিরহংকারী এই মানুষটির, সব শ্রেণির মানুষকে আপন করে নেয়ার গুণ রয়েছে তাঁর মধ্যে। তিঁনি সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন খোলা মনে। একজন সফল পুলিশ অফিসার হিসেবে ইতিমধ্যেই সদর থানার প্রতিটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এবং যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিঁনি। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে সঠিক ও তথ্যবহুল সংবাদ রপ্ত করে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সদর থানার মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তাঁর কাজকর্মের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উন্নত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। সুন্দর ও ভাল মনের মানুষ হলে জীবনের সকল পর্যায়ে ভাল কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টির অন্যতম নিদর্শন ওসি মোজাফফর হোসেন। সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন সর্ব সাধারণের কাছে। পুলিশের প্রতি অনেকের বিরুপ ধারনা থাকলেও ওসি মোজাফফর হোসেনের মতো একজন সৎ অফিসারের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকটা উজ্জল হচ্ছে। করোনাকালে লকডাউন চলাকালীন সময়ে ঝুঁকি নিয়ে, নিজে শ-শরিরে মাঠে থেকে তার পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন থানার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। করোনা-লকডাউন বাস্তবায়নে শুরু থেকেই মানুষকে ঘরে রাখতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার খোদ এই ওসির নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে অর্ধ শতাধিক পুলিশ সদস্য। এতে করে কিছুটা হলেও সুফল মিলেছে বলে ভূয়সী প্রশংসা করছেন এখানকার সচেতন মহল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকায়, ওসি মোজাফফর হোসেন বলিষ্ঠ নেতৃত্বে থেকে, পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং প্রচেষ্টায় করোনার প্রকোপ কমেছে স্বল্প সময়ে। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েও দায়িত্বে এতটুকু অবহেলা করেননি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে, সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আবারও ঝাপিয়ে পড়েন করোনা যুদ্ধে। শহরের বড় ইন্দারা এলাকার শিক্ষক মোঃ আসলাম কবির বলেন-করোনা একটি ছোঁয়াছে ভাইরাস। এটা থেকে বাঁচতে বাড়িতে থাকা আর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ছাড়া বিকল্প কিছুই নেয়। সরকারি নির্দেশনায় পুলিশের তৎপরতায় এই লকডাউনের কারনে অনেকটাই সুফল পাচ্ছি আমরা। শনিবার সকালে শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সদর মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক পুলিশ মাঠে কাজ করছে। শহরের বিশ্বরোড মোড় এলাকার চা ব্যবসায়ী মোঃ শওকত আলি বলেন-পুলিশ এসে আমার দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। এটা আমার নিজের ও পরিবারের সুস্থতার কথা চিন্তা করেই বলেছে। সেজন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এই ব্যবসায়ী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান-করোনা ও লকডাউন ঘোষণার আগে-পরে পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি পৌরবাসীকে ঘরে থেকে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান। তিনি আরও, বলেন আমার কর্তব্য কাজে আমি কখনো আপোষ করি না। আমি সততার সাথে পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব মহোদয় এর নির্দেশনা মোতাবেক সেবামুলক কাজের মাধ্যমে, বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করে যাবো, ইনশাআল্লাহ্। আমার থানা এলাকা থেকে মাদক, চুরি, ছিনতাই, জুয়া, জঙ্গি সহ সকল প্রকার অপকর্মের বীজ উপড়ে ফেলবো। আমার থানার কোন অফিসার কোন অপকর্ম করলে, কোন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট কোনো সুবিধা নিলে কিংবা ঘুষ আদায় করলে নির্ভয়ে থানায় এসে জানাতে বলেন। পুলিশ বলে আমার কাছে কোনো প্রকার ছাড় নেই। গরিব দুঃখী, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষ সহ সকলের জন্য থানার দরজা উন্মুক্ত বলেও জানান তিনি। সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিভাবান, জণদরদী, মহানুভব এই ওসি।