বিডি ঢাকা ডেস্ক
ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত বিরোধ দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে তিব্বত-অরুণাচলসহ বিশাল সীমান্ত রয়েছে চীন ও ভারতের। আর সেই সীমান্তে প্রায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই দেশের সেনারা। অন্যদিকে লাদাখে প্রায় যুদ্ধ অবস্থা। এসব উত্তেজনার মধ্যে চীন তিব্বতে ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ করেছে।
জানা যায়, ভারতের সাথে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (টিএআর) সামরিক শক্তি চীন বাড়াচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত মার্চ থেকেই সেখানে ব্যয়বহুল সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে বলে জানা গেছে। এতে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ ও নিজেদের সেনা বৃদ্ধি করেছে।
তিব্বত এলাকায় সৈন্য মোতায়েনের বিষয়টি মাথায় রেখেই ২০২৪ সালে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির স্প্রিং নিয়োগ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এছাড়া চীন সামরিক অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণও জোরদার করেছে। বিশেষ করে ৪১৭টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছে। বিমানবন্দর, রেলওয়ে এবং মহাসড়কও রয়েছে এসব প্রকল্পের আওতায়।
অবশ্য ভারতও থেমে নেই। তারা সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে, কৌশলগত অবকাঠামো আরো উন্নত করেছে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে সেলা টানেলের কথা বলা যায়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
চীন ২০১৭ সাল থেকে অরুনাচল প্রদেশের ৬২টি বিভিন্ন স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে। তারা মনে করে এটি তাদের তিব্বতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের কাছে এই স্থানের নাম ‘জাঙনাম।’
ভারতের সামরিক শক্তি বাড়ানোর বিষয়টি পাশ্চাত্যের বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিভিউ