নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের শেষ মূহূর্তে এসে পুলিশের ধরপাকড় ও হয়রানির শিকার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ও বিএনপিপন্থি নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করেছে ডিবি পুলিশ। তবে পুলিশের ভাষ্য, নির্বাচনি বিষয়ে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযান চালানো হয়েছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে। প্রতিদিনই এমন অভিযান চালিয়ে থাকে পুলিশ।
পুলিশের ধরপাকড় অভিযোগের বিষয়ে শনিবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, আমরা নির্বাচনি কোনো প্রার্থীর লোক বা সমর্থকদের গ্রেফতার করিনি। কেউ এসব বিষয়ে অভিযোগ করলে তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশের প্রতিদিনের রুটিনওয়ার্ক অপরাধীদের গ্রেফতার করা। মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপরাধীকে ধরতেই পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তবে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে তিনি জানান।
সরেজমিন কয়েকজন বিএনপিপন্থি সমর্থকের সঙ্গে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাদা পোশাকে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। এ ছাড়াও কয়েকজন প্রার্থীর বাসায়ও তল্লাশির নামে হয়রানি করেছে। বাসার লোকজনকে কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। এসব কারণে এজেন্টরাও শঙ্কায় রয়েছেন। তারা আজ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন কি না তাও নিশ্চিত না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ভোটের আগমুহূর্তেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন গতকাল শনিবার দুপুরে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের স্বার্থে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি মরে গেলেও নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, গত শুক্রবার রাতে তার দলের কর্মী-সমর্থকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের হেফাজতের মামলায় ও মাদক মামলায় গ্রেফতার করছে। এভাবে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হলে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। নির্বাচন কমিশন, ডিসি-এসপিদের নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠু ভোটের আহ্বান জানান তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..