অনলাইন নিউজ : সকল দলের অংশগ্রহণে ‘নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীকে বলব আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আপনাকে আলোচনার টেবিলের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে। আপনি আলোচনা শুরু করেন।
নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে কীভাবে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করা যায়। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এর কোনো বিকল্প নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, স্বাস্থ্যের বেহাল দশা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতির ডিপো। করোনার সময়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এটা পুষিয়ে নিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিক্ষা বিভাগ অটোপাস আর অটো ভর্তি দিয়ে চলছে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হচ্ছে। ঘটনার পর গুজব আর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে দায় সারা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দলীয়করণ করা হচ্ছে। মেধা তালিকায় থাকলেও ভিন্ন মতের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের মেগা প্রকল্প নিয়ে অনেক কথা আছে। এখানে যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে সেখানে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির এমপি বলেন, আন্তর্জাতিক মহল থেকে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। সরকারের উচিত এটা এড়িয়ে না গিয়ে এর থেকে পরিত্রাণের পথ বের করা।
তিনি বলেন, সিইসি বলছেন তিনি রাতের ভোট দেখেননি। একটি অপদার্থ ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের আনুগত্যশীলদের দিয়ে ইসি গঠন হয়েছে বলেই তাদের স্বার্থ পরিপন্থী কোনো কথা ইসি বলে না। ভোট হচ্ছে না। ভোট চুরি হচ্ছে তারপরও বলছে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
বর্তমানে সংসদে থাকা সবগুলো দলই তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছে দাবি করে হারুনুর রশীদ বলেন, এই সংসদে যারা আছেন সকল দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। বিএনপি করেছে, আওয়ামী লীগ করেছে। জাতীয় পার্টিও এক সময় করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিরোধীতা করছেন কেন? কারণ একটি-যদি রাতের আঁধারে ভোট করে ক্ষমতায় থাকা যায়। যদি বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকা যায়। সেই উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।