বিডি ঢাকা ডেস্ক
‘জলাতঙ্ক নির্মূলে, কাজ করি সবাই মিলে’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর র্যালি, আলোচনা সভা ও পোষা কুকুর ও বিড়ালকে টিকাদানের আয়োজন করে।
রবিবার জেলা পরিষদ মোড়ে অবস্থিত জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে র্যালিটি বের হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য বক্তব্য দেন— জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. কবীর উদ্দিন আহমেদ। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে জলাতঙ্ক সম্পর্কিত সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— গোমস্তাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াসিম আকরাম, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শারমিন আকতার। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন গোমস্তাপুর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. বরুণ কুমার প্রামানিক।
বক্তারা বলেন, জলাতঙ্ক হলো একটি মারাত্মক ও প্রাণঘাতী ভাইরাল রোগ। এটি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। আক্রান্ত প্রাণীর লালা এবং তরল পদার্থের মাধ্যমে এর জীবাণু ছড়ায়। বেজি, কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বাদুড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪-৫ লাখ মানুষ এসব প্রাণী দ্বারা আত্রান্ত হয়। প্রতিবছর অন্তত ২ হাজার মানুষ মারা যায়। এ রোগ ভয়ঙ্কর, তবে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। বেশিরভাগ সময় কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়, এর মধ্যে আবার বেশির ভাগ কুকুর কামড় দেয় শিশুদের। কারণ শিশুরা না বুঝে কুকুরকে উত্ত্যক্ত করে। কুকুরকে উত্ত্যক্ত না করলে সহজে কামড় দেয় না। কাজেই আতঙ্কিত না হয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, কুকুরের ভ্যাকসিনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে জলাতঙ্ক নির্মূল করা সম্ভব হবে।