মো.হারুন অর রশিদঃ রাজশাহীতে সিটি হাটের পাশে গর্তে ড্রামের মধ্যে উদ্ধার হওয়া তরুণীর লাশের পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।রোববার ভোরে ওই তরুণী হত্যাকাণ্ডের মুলহোতা পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকার (৪৩) কে আটক করে পিবিআই।পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনভর অভিযান চালিয়ে লাশ পরিবহণ কাছে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক সহ নিমাইয়ের তিন সহযোগীকে আটক করে।এ সময় লাশ বহনে ব্যবহৃত মাইক্রোটিকেও আটক করা হয়।আটক পুলিশ কনস্টেবল নিমাই রাজশাহী রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) থানায় কর্মরত।ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত।তার স্ত্রীও পুলিশের কনস্টেবল।তিনি বতর্মানে বগুড়ায় কর্মরত।তার গ্রামের বাড়ি পাবনার আতাইকুলা থানার চরাডাঙ্গা গ্রামে।পিবিআই এর একটি বিশেষ টিম রোববার ভোররাতে নাটোরের লালপুরে বোনের বাসা থেকে ঘাতক নিমাইকে আটক করে।পরে নিমাই নিহত তরুণীর পরিচয় প্রকাশ করে। নিহত ওই তরুণীর নাম ননিকা রাণী রায়(২৪)।তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁ জেলা সদরের মিলনপুর গ্রামে।তিনি রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে সদ্য নার্সিং সমাপ্ত করে রাজশাহী শহরের একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।নিহত ননিকা রাণী শহরের পাঠানপাড়া এলাকায় একটি মসে ভাড়া থাকতেন।আটক নিমাইয়ের অন্যান্য সহযোগীরা হলো নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন আদরীপাড়া কবির আহমেদ (৩০),রাজপাড়া থানাধীন শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী (৩৪) এবং নগরীর বিলশিমলা এলাকার আব্দুর রহমান (২৫)।পিবিআই সূত্রে জানা গেছে,কনস্টেবল নিমাই ননিকা রাণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক নিমাই জানিয়েছে,৬/৭ বছর ধরে ননিকার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল।সম্প্রতি ননিকা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে।উল্লেখ্য যে গত শুক্রবার রাজশাহী সিটি হাটের পাশে ডোবায় ড্রামের ভিতর থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এ নিয়ে বিডিঢাকা ডট কম সহ বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন পড়