জামালপুর- সংবাদদাতা : জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কের পাশে মনিরাজপুর জামতলী এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সামিয়া আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরী শাহজামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি ওই বাগান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পাথালিয়া গ্রামে। স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় তারা মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। সামিয়ার মা জয়নব জানান, সাত মাস আগে তার মেয়ে বাগেরহাটা বটতলা এলাকার জনি নামের ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। কিছুদিন একসঙ্গে থাকার পর সামিয়া শহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সিপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাকে বোন বানিয়েছিল। তাই তাদের বাড়িতে সামিয়ার থাকা নিয়ে পরিবারের কোনো আপত্তি ছিল না। ‘তিন দিন আগেও আমি মেয়ের সঙ্গে দেখা করে আসছিলাম। আজকে সকালে শুনি আমার মেয়ে মরে গেছে’, বলেন জয়নব। ঘটনার পর নুরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাথালিয়া গ্রামের কয়েকজন জানান, সোমবার সামিয়া তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেয়। সেখানে লেখা ছিল, এই রঙিন দুনিয়ায় সে আর থাকতে চায় না। তবে তার সেই আইডির খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। মেরাজুল ইসলাম রবিন