জামালপুর সংবাদদাতা : যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে জামালপুরে সর্বত্র ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জামালপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেনের পক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন। পরে সেখানে পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের নেতৃত্বে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জামালপুর জেলা ইউনিটের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অপরদিকে বিজয় দিবসের সকালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মেরাজুল ইসলাম রবিন।