অনলাইন নিউজ : করোনাভাইরাস সংক্রমণের দক্ষিণ আফ্রিকান ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের যেসব জায়গায় করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন ছড়িয়ে পড়ছে, সেসব চিত্র ও গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে বলেও জানানো হয়েছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন বলেন, একটা সময় আমরা বলেছিলাম পুরুষরা অনেক বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে তথ্য এসেছে তাতে ওমিক্রণে পুরুষের চেয়ে নারীর আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। একইসঙ্গে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বেশি। এক সময় বলা হতো তরুণদের ইমিউনিটি বেশি, তারা আক্রান্ত হবেন না। ওমিক্রন এসে সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপে আমরা শিশুদেরও আক্রান্ত হতে দেখেছি।
তিনি বলেন, আমাদের যে টিকাগুলো দেয়া হচ্ছে, সেটা কোনোটাই ওমিক্রন প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর না। যারা আগে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে ওমিক্রন কার্যকর থাকতে পারে। বলা হচ্ছে, যারা করোনার দুটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা যেন বুস্টার ডোজ নেন। কারণ দেখা যাচ্ছে, বুস্টার ডোজ নেয়ার পর অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়; যা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে বেশ কিছু টেস্ট হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু আমাদের কেসও বেড়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ শতাংশ টেস্ট বেশি করা হয়েছে। গত সাত দিনে আমাদের মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। করোনা প্রতিরোধে সারা দেশে মাসব্যাপী ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
রোবেদ আমিন বলেন, আমাদের টার্গেট আছে এক মাসে চার কোটি ভ্যাকসিন আমরা বাংলাদেশের মানুষকে দিতে পারি কি না। আমরা চাই, জুন মাসের মধ্যে আমাদের ৮০ ভাগ লোক বা তারও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজের বিষয়ে যারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত আছেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।