অনলাইন নিউজ : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) পুলিশ সদস্য থেকে আইজিপি পর্যন্ত সকলকে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদেরকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রবিবার (১০ জুলাই ২০২২) বিকালে পুলিশ ভবনে সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি।
ডাইনোসর ও তেলাপোকার উদাহরণ দিয়ে আইজিপি বলেন, “বিশাল ডাইনোসর সময় ও পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনি বলে সে বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিন্তু তেলাপোকা গত ছয় হাজার বছর ধরে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে পৃথিবীতে টিকে আছে। এখন সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে, অপরাধের ধরণও পাল্টাচ্ছে এজন্য সমাজ, দেশ ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি।”
আইজিপি বলেন, “সরকারি অন্য আর দশটা সার্ভিসের চেয়ে পুলিশের সেবাটা অন্য ধরণের। এখানে পুলিশ কী করছে সেটা সবার চোখে পড়ে। এজন্য আমরা নিয়োগ পদ্ধতিটা পরিবর্তন করে জব মার্কেট থেকে বেস্ট অব দ্য বেস্টকে নিয়োগ করছি। সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে বছরে একবার করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাজের উপযোগী, রাষ্ট্রের উপযোগী করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি বলেন, “পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে কোরবানির পশু নিয়ে ব্যাপারীরা নির্বিঘ্নে পছন্দের হাটে বিক্রি করতে পেরেছেন। যানজট অনেক কম থাকায় মানুষ নির্বিঘ্নে আপনজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন। পুলিশের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ এটাই আশা করেন।” এজন্য তিনি সকল পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
করোনার হালকা প্রকোপ থাকায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য বলেন তিনি। করোনা চিকিৎসায় পুলিশ হাসপাতাল রোল মডেল স্থাপন করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হার্ট ও ক্যান্সারের চিকিৎসা পুলিশ হাসপাতালে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।সামাজিক সুরক্ষা বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত এ ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার) সহ ঢাকাস্থ পুলিশের ইউনিট প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও পুলিশ সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বিশ্ববাসী তথা বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করা এবং বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য মহান আল্লাহতায়ালার অনুগ্রহ ও রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং দোয়া করা হয়। বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
পরে আইজিপি সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে নিজ হাতে খাবার তুলে দেন। এ সময় পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা তাঁর সাথে থেকে সহযোগিতা করেন।