বিডি ঢাকা ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সড়কে পৌরসভার টোল আদায়ের প্রতিবাদে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক অবরোধ করেছে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা ৩০ পর্যন্ত আখাউড়া আগরতলা সড়কের খড়মপুর বাইপাস মোড়ে চালকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আগরতলা ও আখাউড়া-চান্দুরা সড়কে ভারতে সিমেন্ট রপ্তানিকারী গাড়িসহ শত শত গাড়ি আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা ও সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। পরে পুলিশ এসে টোল আদায় করা হবে না বলে আশ্বস্ত করলে তিন ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে সোমবার (পহেলা বৈশাখ) থেকে প্রতিটি সিএনজি ও অটোরিকশার কাছ থেকে ১৫ টাকা হারে টোল আদায় করা শুরু করে ইজারাদাররা। টোল আদায়ে নিয়োজিত এক শ্রমিক জানান, এটি নাকি সরকারি আদেশ অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এ ঘোষণার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রজ্ঞাপন বা নির্দেশনা এখনো জারি হয়নি। ফলে “সরকারি আদেশ” বলে উল্লিখিত বক্তব্যটি বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। অনেকেই মনে করছেন, যদি এটি পৌরসভার নিজস্ব সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, তাহলে কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল জনসমক্ষে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান এবং এর আইনগত ভিত্তি তুলে ধরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই একে ‘নতুন ধরনের চাঁদাবাজি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেখানে সরকারের নাম ব্যবহার করে সাধারণ চালকদের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে এই ঘোষণার পেছনে কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিগত ইউএনও সাহেব সরকারি নিয়ম মেনে পৌরসভায় ৫ টি ইজারা দিয়েছেন। পৌর পশুর হাট, কাঁচা বাজার ও তোহা বাজার, রানির দীঘির পশ্চিম পাড় সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড, থানা ব্রিজ সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড এবং বাইপাস সিএনজি স্ট্যান্ড। যারা এগুলো ইজারা নিয়েছেন তাদের সাথে মার্চ মাসে চুক্তি সম্পাদনও করেছেন। সে অনুযায়ী ইজারাদার বৈশাখের প্রথম দিন থেকে টোল আদায় শুরু করেছে। বুধবার সড়ক অবরোধ করলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ তাদের সাথে কথা বলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।