রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

ট্রাকের চেয়ে পরিবহণ ব্যয় বেশি ট্রেনে: কৃষিপণ্য নিতে অনাগ্রহী ব্যবসায়ীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাগঞ্জে প্রথম দিনে কোন কৃষিপণ্য ছাড়াই ছেড়ে গেছে কৃষিপণ্যবাহী বিশেষ ট্রেন। কম খরচে কৃষিপণ্য ঢাকায় পৌঁছাতে গতকাল শনিবার থেকে নতুন করে চালু হয় এ ট্রেনটি। বেলা এগারটা ৪০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্রেনে কৃষিপণ্য ঢাকায় পৌঁছাতে উল্টা খরচ বাড়বে। ফলে তাদের অনাগ্রহের কারণে এই ট্রেনটিতে কোনো কৃষি পণ্য পরিবহন করা হয়নি। অন্যদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, স্পেশালভাবে কৃষি পণ্যবাহী ট্রেন না দিয়ে প্রতিটি ট্রেনে একটি করে কৃষি পণ্যবাহী বা লাগেজবাহী বগি রাখতে হবে। তাতে যাত্রীরা ওই লাগেজ বগিতে বড় বড় লাগেজ এবং কৃষি পণ্য নিয়ে যেতে পারবেন ঢাকায়। তখন এটি ধিরে ধিরে জনপ্রিয় হবে।

রেলের দায়িত্বরতরা জানান, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে কৃষিপণ্যেবাহী ট্রেনটি। পরে রাজশাহী রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায় সোয়া এগারটায়। তবে রাজশাহী পর্যন্ত ৫টি স্টেশনে সবজি নেয়ার জন্য থামলেও কোনো প্রকার সবজি উঠায়নি কেউ। তবে কিছু মুরগির ডিমের খাঁচি নেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষিপণ্য না থাকায় এই বিশেষ এই ট্রেনটি খালি যেতে দেখা গেছে। প্রতিদিন পণ্যবাহী এ ট্রেনের ৫ টি বগির মধ্যে ১২০ টন পণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা থাকবে।  কেজি প্রতি সবজি বা কৃষিপণ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১ টাকা ৩০ পয়সা এবং রাজশাহী থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ১৮ পয়সা পড়বে ঢাকায় পৌঁছানোর খরচ।

রাজশাহীর দুর্গাপুরের সবজি ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনসহ আরও অনেকে জানান, একটি মাঝারি ট্রাকে ১৫ থেকে ১৬ টন মালামাল (কৃষিপণ্য) ঢাকায় পরিবহন করা যায়। তাতে ভাড়া পরে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। ট্রেনের যে ভাড়া তাতে ১৫ টন মালামাল ঢাকায় পাঠাতে শুধু ট্রেন ভাড়ায় লাগবে কমপক্ষে ১৭ হাজার টাকা।

আবার বাজার থেকে মালামাল কিনে ট্রাকে করে সেটি সরাসরি ঢাকার মোকামে বা আড়তে পৌঁছানো যায়। কিন্তু ট্রেনে পাঠাতে হলে বাজার থেকে কিনে আগে স্টেশনে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে মালামাল বুকিং করতে হবে। এরপর ট্রেনে তুলে দিয়ে ঢাকার কোনো স্টেশরে নামিয়ে সেই মালামাল আবার আড়তে পৌঁছাতে হবে। এতে করে একই কৃষিপণ্য রাস্তাতেই দুই জায়গায় নামানো উঠানো করতে দুই জায়গাতেই শ্রমিককে টাকা দিতে হবে। আবার একই মালামাল মাঝপথে দুই জায়গায় উঠানো নামানো করতে গিয়ে মাণ খারাপ যেমন হবে, তেমনি দুই স্টেশনে পৌঁছানো এবং নিয়ে যাওয়া বাবদ বাড়তি ট্রাক বা পরিবহণ ভাড়া লাগবে। ফলে ট্রেনে করে কৃষি পণ্য পরিবহন করতে বেশি খরচ হবে। এই চিন্তা থেকে আমরা ট্রেনে আগ্রহ দেখাবো না। এর আগে আম পরিবহন করতে গিয়েও এভাবে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। যার কারণে এখন আমও ট্রেনে তেমন যায় না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com