রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

ঠান্ডাজনিত রোগে কাবু শিশু-বয়স্করা, বাড়ছে শীত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

সারাদেশে অনেকটা জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় নাজেহাল মানুষ। দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। এতে বেশির ভাগ আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। ভোর থেকে দিনের একটা লম্বা সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। অনেক স্থানে মাঝ দুপুরে সূর্য দেখা দিলেও তেমনটা নেই উত্তাপ। ঠান্ডা বাতাসের কাছে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপ।

শীতের মাস পৌষ শুরুর আগেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন তারা। অনেক জায়গায় নির্দিষ্ট বেডের বিপরীতে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীর স্বজনরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে রোগের প্রকোপ বাড়ছে। অনেকে কাশি, গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউর রহমান বলেন, শীতে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, টনসিলাটাইসিস, ব্রঙ্কিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস সমস্যা দেখা দেয়। এবার ডেঙ্গুর পরেই শিশু শীতজনিত রোগে ভুগছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। যাদের জটিলতা বেশি, তাদের ভর্তি করা হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে শীতকালীন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে শীতজনিত ফ্লু ও আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, রেসেপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, অ্যাজমাজনিত পালমোনারি প্রবলেম, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে আসছেন। অনেকের অবজারভেশনে ভর্তি করা হচ্ছে। অনেকের পরিস্থিতি বুঝে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়েই বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম এবং ধূলিকণা বেড়ে যাওয়ায় ফ্লু, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস এবং ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। ফলে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও শীতকালীন ডায়রিয়ায় শিশু অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই বিশেষজ্ঞ বলেন, শিশুকে সুস্থ রাখতে শীতের কাপড় পরাতে হবে, মাথা ঢেকে রাখতে হবে, মাথায় ঠান্ডা লাগানো যাবে না, বাড়ির বাইরে অহেতুক বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। শিশুর ঠান্ডা লাগলে, কাঁশি হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে দেশের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, রংপুরসহ ১৩ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে এক থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com