বিডি ঢাকা ডেস্ক
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদের স্থগিত নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত চালু করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়েছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে পরীক্ষার্থীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি জমা দেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২০ মে ইসি থেকে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। যেখানে একটি ক্যাটাগরিতে নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকে। যার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ২৮ মার্চ তার ফলাফল প্রকাশিত হয়। গত ১৭ জুন লিখিত পরীক্ষার তারিখ ও প্রবেশপত্র দেয়া হলেও অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষাটি স্থগিত হয়ে যায়।
অন্যদিকে দেশের পরিস্থিতি হঠাৎ করে অস্থিতিশীল হয়ে যাওয়ার কারণে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদের লিখিত পরীক্ষাটি আর নেয়া হয়নি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পাঁচ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও যথাসময়ে পরীক্ষা নেয়া হয়নি এবং এর মধ্যে আমাদের অনেকের সরকারি চাকরির পরীক্ষার বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেকের বয়স প্রায় শেষের দিকে। এমতাবস্থায় আমরা চাকরি প্রত্যাশীরা দিন দিন অসহায় হয়ে পড়েছি, বেকারত্ব দিন দিন আমাদের জীবনকে নাভিশ্বাস করে তুলেছে।
ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য শাকিল সরকার ও মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সচিব স্যার বলেছেন, নির্বাচন কমিশনাররা না থাকলে পরীক্ষা নেয়া যায় না। কমিশন যোগদানের দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা নেবে। আউটসোর্সিংয়ের কোনো জনবল বিদ্যমান নিয়োগ কার্যক্রমে পরীক্ষা ছাড়া উত্তীর্ণ করানো হবে না। ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশন নিয়োগ হবে বলে সচিব ধারণা দিয়েছেন বলেও জানান তারা।
এতে কয়েকটি দাবিও তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- স্থগিত হওয়া লিখিত পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, আউটসোর্সিং এবং প্রকল্প থেকে কাউকে সরাসরি নিয়োগ দেয়া যাবে না, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করতে হবে।