শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

‘ডিসি-ইউএনও-এসি ল্যান্ড নদীর সুরক্ষায় ব্যর্থ’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

নদী সুরক্ষায় পুরোনো ব্যবস্থাপনা ভেঙে নতুন ব্যবস্থপনা গড়ে তোলার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রিভারাইন পিপল ক্লাব। আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রংপুর নগরীর প্রয়াস সেনাপার্ক সংলগ্ন ঘাঘট নদীর পাড়ে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংগঠনটি।

নদী ধ্বংসের প্রতিবাদ জানাতে ঘাঘট নদীর পানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন নদী গবেষক, সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এতে রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ, বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও আয়োজক সংগঠেনের উপদেষ্টা খাইরুল ইসলাম পলাশ, রিভারাইন পিপল ক্লাবের সংগঠক শামসুর রহমান সুমন, মইন উদ্দীন, আজিজুল হক, শাহরিয়ার নাফিস প্রমুখ।

নদী গবেষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নদী সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ডিসি, ইউএনও এবং এসি ল্যান্ড নদীর সুরক্ষায় ব্যর্থ, চাই নতুন ব্যবস্থাপনা। দেশের দখল হওয়া নদীর সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে এসব পদের কর্মকর্তারা জড়িত।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নৌপরিহন মন্ত্রণালয়ের অধীন থেকে মুক্ত করতে হবে, আইন সংষ্কার করে কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে কমিশনের কার্যালয় থাকতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যবস্থাও তাদের থাকতে হবে।

শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ বলেন, আমাদের দেশের নদীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এ কাজগুলো হচ্ছে। আমাদের দেশের জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করা হলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করি।

সংগঠক শামসুর রহমান সুমন বলেন, নদী সুরক্ষায় সকলের দায় রয়েছে। আমরা মনে করি নদী সুরক্ষায় নতুন ব্যবস্থাপনা আসা উচিত। নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কাউন্সিল গড়ে তোলা প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত বলেন, নদী রক্ষায় বর্তমান প্রশাসনের ওপর আমরা অনাস্থা প্রকাশ করছি এবং আমরা নতুন ব্যবস্থাপনা চাই।

উল্লেখ্য, ঘাঘট নদী রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নদী। এ নদীর দৈর্ঘ্য ২৩৬ কিলোমিটার। এর পানি প্রবাহমাত্রা অবস্থাভেদে ৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ কিউসেক। স্থানীয়ভাবে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এ নদী থেকে মাটি কাটা হয় এবং বালু উত্তোলন করা হয়। মাটি-বালু কাটার কারণে বর্ষায় নদী ভাঙন দেখা দেয়, কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com