সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন

ঢাকার সড়কে চলন্ত বোমা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

রাজধানী ঢাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে গণপরিবহন ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা। এসব যানবাহনে সিএনজির মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার যেন কোনো ব্যাপারই না। সবাই যেন এ ব্যাপারে উদাসীন। যানবাহনের মালিক কিংবা চালক কারো যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই বিষয়টি নিয়ে। মাঝে মাঝে কোথাও কোথাও সিএনজি চালিত গাড়ি বা সিএনজি স্টেশনে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলেও পরবর্তী সময়ে সবাই ভুলেই যায়। শুধু ঢাকা শহরেই চলছে লাখ লাখ সিএনজি চালিত অটোরিকশা। এছাড়া সিএনজি চালিত প্রাইভেটকার ও গণপরিবহনতো রয়েছেই।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বুয়েটের প্রফেসর ড. শামসুল হক বলেন, সিএনজি চালিত যানবাহনের বিষয়ে আরো বেশি দায়িত্বশীল তদারকির ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমরা লক্ষ করি ঢাকায় যেসব সিএনজি পুরোনো হয়ে যায় এর অনেকগুলো আবার গ্রাম এলাকায় ব্যবহার করে এতেও কিন্তু ঝুঁকি রয়ে যায়। এগুলো ব্যবহারে ঝুঁকিতে ফেলেন সাধারণ মানুষকে। এসব নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কঠোর হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি করেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। তা না করে টেকনিক্যাল লোকজন দিয়ে কাজ করাতে হবে। বড় দুর্ঘটনায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। নাহলে তদন্ত থেমে যাবে।

 

দেশে প্রায় ৫ লাখ সিএনজিচালিত যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে একই সিলিন্ডার পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা গাড়ির সংখ্যা অন্তত ৭০ শতাংশ। পুনঃপরীক্ষা ছাড়াই সড়ক-মহাসড়কে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন।

 

মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার নিয়েই অসচেতনতা আর আইন প্রয়োগের ঘাটতি থেকেই ঘটে দুর্ঘটনা। কারণ জ্বালানি খরচ কমাতে সিলিন্ডার ব্যবহারে গাড়ির মালিকরা যতটা উদ্যোগী, ঠিক ততটাই উদাসীন রক্ষণাবেক্ষণে। যে কারণে মাঝে মাঝেই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গ্যাস চাপের ক্ষমতা অনুযায়ী সিলিন্ডারের মেয়াদ ধরা হয় ১০ থেকে ১৫ বছর। নিয়ম হলো, প্রতি ৫ বছর পর পর সর ধরনের সিলিন্ডার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তবে সেটি যে হয় না। এছাড়া গাড়িতে গ্যাস নেয়ার সময় যাত্রীদের নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে হয় সেটি প্রায় সবারই জানা। কিন্তু মৃত্যুঝুঁকি জেনেও এ যেনো এক নিয়ম ভাঙার নীরব প্রতিযোগিতা। অটোরিকশা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত গাড়ি, গ্যাস নেয়ার সময় যানবাহন থেকে নামেন না বহু মানুষ। জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন প্রয়োগে কঠোর হবার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর লক্ষীপুরে একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের কয়েকজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর আগে ঢাকা-লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় একটি বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়।

চালকরা জানান, সিলিন্ডার চেক করানো বা সিলিন্ডারের পরীক্ষা করানোর কথা আমাদেরকে মালিকরা কখনো বলে না। মালিকরা গাড়ি দিয়েছে আমরা শুধু চালাই। বালু জমলে ফিল্ডার পরিষ্কার করি কিন্তু সিলিন্ডার করা হয় না। পরীক্ষা করা উচিত কিন্তু কিভাবে করতে হবে তা তো জানি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com