বিডি ঢাকা ডেস্ক
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্যর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন— সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. শাহাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নূরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য— দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, ছাত্রপ্রতিনিধি আব্দুর রাহিম, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী তানজিলা খাতুন। সূচনা বক্তব্য দেন— জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু মাসুদ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. নোশীন ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তারুণ্যের যে অভাবনীয় শক্তি রয়েছে তা সারাবিশ্ব দেখেছে। তরুণরা যদি জাগে, তাহলে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব। তাই তারুণদের এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন জনসংখ্যাকে সমস্যা মনে করছি না। এটা আমাদের সম্ভাবনা। আমাদের যে তরুণ প্রজন্ম, তাদের সামনে আমরা যদি সুস্থ সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে না পারি, তাহলে এই তরুণ প্রজন্মই আমাদের জন্য অভিশাপ হবে। তরুণদের জন্য সুস্থ সুন্দর বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এই সুস্থ সুন্দর বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে আমাদের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। কু-সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা যারা অভিভাবক আছি, আমাদের পরিবারকে সময় দিতে হবে, বাচ্চাদের সময় দিতে হবে। আমরা নিজ নিজ ক্যারিয়ার কিংবা অন্যান্য বিষয়ে এত বেশি সময় দিচ্ছি বা জড়িয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যাদের জন্য এতকিছু করার, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছি না। আমাদের সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে তাদের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি তরুণ প্রজন্মকে কাজ দিতে পারি তাহলে তারা আর বিপথে যাবে না। তাদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেক যুবক প্রবাসে কাজ করে। তাদের যদি দক্ষ করে প্রবাসে পাঠাতে পারি, তাহলে রেমিটেন্স প্রবাহ আরো বাড়বে। আমাদের সেই সুযোগ আছে। কাজে লাগাতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে, তাদেরকে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে দক্ষ জনসম্পদে রুপান্তর করতে হবে। কেননা আগামী দিনে তারাই দেশ পরিচালনা করবে।
পরে ৬টি ক্যাটাগরিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পরিবাব পরিকল্পনা অফিসার, উপজেলা ও ক্লিনিককে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন।’