তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে খাবার পানির মটর স্থাপনের অভিযোগে মটরের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, পহেলা ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আকচা বানিয়াপাড়া গ্রাম থেকে খাবার পানির একটি মিনি মটরের মালামাল জব্দ করেন তানোর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ও রির্টানিং কর্মকতা সুশান্ত কুমার মাহাতো। এ ঘটনায় জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ও রির্টানিং কর্মকতা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে মটরের সকল মালামাল জব্দ করা হয়েছে এবং বিষয়টি অতীবও গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আসলে প্রায় ৬ মাস আগে গ্রামবাসীর আবেদনের ভিত্তিত্বে সেখানে খাবার পানির একটি মটর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, কিন্ত্ত অর্থিক সংকটের কারণে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি, অর্থপ্রাপ্তি ও গ্রামবাসীর অনুরোধে খাবার পানির মটর স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আসলে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মটর স্থাপনের কোনো ইচ্ছে তার নাই, যদি তাই হতো তাহলে তিনি গ্রামবাসীর হাতে নগদ টাকা দিতে পারতেন তিনি তো সেটা করেননি।এদিকে কেউ কেউ মটর জব্দকে সমর্থন করে বলেন এটা সঠিক হয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী মতাদর্শী কয়েকজন বয়োজৈষ্ঠ গ্রামবাসী বলেন, খাবার পানির মটরের মতো জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে কিছুটা শিথিল করা হলে গ্রামবাসী উপকৃত হতো। আর মটরের সঙ্গে ভোটের কি সম্পর্ক যারা তাকে ভোট দিবেন তারা এমনিতেই দিবেন বরং মটর জব্দ করায় গ্রামের সিংহভাগ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকেই ভোট দিবে বলে শোনা যাচ্ছে। আবার কেউ বলছে, সাধারণ মানুষের পারচেপশনের মুল্য দিতে হবে এভাবে ভোট পক্ষে নেয়া যায় না বরং মটর স্থাপনের পর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সরকারের দেয়া মটরের কৃতিত্ব নিজের ঘরে নিতে পারতেন।