আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাঙালী জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ ভাবগাম্বীর্যের মধ্যদিয়ে উদযাপন করেছেন। জানা গেছে, ২৬ মার্চ শুক্রবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন এবং সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসুচি। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি রাকিবুল হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার ও সোনীয়া সরদার প্রমুখ। এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বঙ্গবন্ধুর বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকী একই সঙ্গে উদযাপিত হতে যাচ্ছে যা একটি ঐতিহাসিক স্মারক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমায় মুহমান এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল হতে উন্নত দেশে রুপান্তরিত করতে সচেষ্ট হবে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তাই আমাদের দায়িত্ব তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বার। বঙ্গবন্ধু সব সময় সত্যের পক্ষে ছিলেন আমরাও সেই পক্ষ নেওয়ার জন্য মহান স্বাধীনতা দিবসে বদ্ধপরিকর।