বিডি ঢাকা ডেস্ক
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটার পর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এতে রেস্টুরেন্টে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকা, ফুটপাতে গ্যাসের সিলিন্ডার ও রান্নার চুলা রাখাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর নানা এলাকা থেকে তিনদিনে গ্রেপ্তার ১১৮০ জনকে নানা পরিমাণে জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নন জিআর শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। জানা যায়, রেস্তোরাঁ অভিযানে ডিএমপি অধ্যাদেশে গ্রেপ্তার ২৭৮ জনকে আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এরপর শুনানি শেষে তাদের বিভিন্ন পরিমাণে জরিমানা করেন আদালত। জরিমানার টাকা দেয়ার শর্তে তারা ছাড়া পান। এর আগে মঙ্গলবার ৪৫৪ জনকে ও সোমবার ৪৪৪ জনকে নানা মেয়াদে জরিমানা করেন আদালত। জরিমানার টাকা দেয়ার শর্তে তারা মুক্তি পান।
আরো পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা
এদিকে রেস্তোরাঁ অভিযানের পর থেকে তিনদিনে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার সামনে গ্রেপ্তার আসামিদের ছাড়াতে স্বজনদের ভিড় দেখা যায়। আইনজীবীর মাধ্যমে জরিমানা দিয়ে আসামিদের নিয়ে যান। ডিএমপি অধ্যাদেশে এতো আসামি নিয়মিত গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে আসেন না বলে জানান নন জিআর শাখার কর্মকর্তারা। রেস্তোরাঁ অভিযানের ফলে এতো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এদিকে রেস্তোরাঁ অভিযানে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। প্রতিদিনই হচ্ছে অভিযান। অনেক রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্টে সিলগালাসহ বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হচ্ছে। এছাড়া যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা অধিকাংশই রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার, কর্মচারী। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হচ্ছে। এরপর কাউকে ২০০, কাউকে ৫০০ বা কারো ১০০০ টাকা নামমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। রাজধানী জুড়ে রেস্তোঁরা অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।