যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রাশিয়ায় হামলা চালায় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে বলে সতর্কতা দিয়েছেন রুশ আইনপ্রণেতা আন্দ্রেই ক্লিসাস। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনকে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এমন হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার এই নেতা। খবর আরটির।
ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমারা উত্তেজনা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেখানে সকালের মধ্যে ইউক্রেন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে। আন্দ্রেই ক্লিসাস জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাবে তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালানো হবে। এক্ষেত্রে কোনো দেরি করা হবে না। তিনি বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে এটি বড় ধাপ। গত সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন জানান, যদি পশ্চিমারা ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে দেয়, এটির অর্থ হবে পশ্চিমারা সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। পুতিন হুমকি দেন, এ ধরনের পদক্ষেপ চলমান যুদ্ধের প্রকৃতি এবং পরিধি বদলে দেবে। নতুন এ হুমকির বিরুদ্ধে রাশিয়া যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান তিনি। সেপ্টেম্বরেই পুতিন জানান, পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ কোনো দেশের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন যদি রাশিয়ায় হামলা চালায় তাহলে রাশিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে এর আগে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে দেননি জো বাইডেন। কিন্তু নিজের প্রেসিডেন্সি আমলের শেষ সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন বাইডেন। রয়টার্সকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাশিয়ার গভীরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই অনুমতি চেয়ে আসছিলেন। যেন নিজেদের সীমান্তের অনেক দূর থেকেও রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে তারা হামলা চালাতে পারেন। ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া।