বিডি ঢাকা ডেস্ক
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা কমার ফলে শীতের তীব্রতাও বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিবছর এই সময়টাতে পঞ্চগড়সহ পাশ^বর্তি জেলাসমুহে শীতের আগমন ঘটে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলটিতে মৌসুমী বায়ু বিদায় নেওয়ায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল বাতাস এবং ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা আরও কমিয়ে দিয়েছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, পঞ্চগড়সহ পাশ^বর্তি জেলা সমূহে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে সকালে ও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতজনিত বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড় পরিধান শুরু করেছে।
পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে, ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে সর্বত্র। পঞ্চগড়ের স্থানীয়রা জানান, ঠান্ডা অনুভুত হওয়ায় তারা অনেকেই লেপ-কাঁথা-কম্বল বের করেছেন। বিকেলের পর শীতের পোশাক পড়তে হচ্ছে। তারা আরও জানান, দিনের বেলা রৌদ্রজ্জল আকাশ থাকলেও তাপমাত্রা তেমন বাড়ছেনা। দিনের বেলা কিছুটা গরম আর রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার এই তারতম্যে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। ঠান্ডাজনীত রোগ বৃদ্ধির কারণে জেলার হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগে গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার শতাধিক রোগী জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগের চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিশু ও বয়স্ক রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জনকণ্ঠকে জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের প্রভাবে তাপমাত্রা কমে গেছে। ভবিষ্যতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে তিনি জানান।