বিডি ঢাকা ডেস্ক
পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে মিল মালিকরা বাজারে ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আবার তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে এমনটা করলে শাস্তির কথা জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অডিটোরিয়ামে বৈঠকে তিনি এই কথা জানান।
তেলের সঙ্গে অন্যপণ্য জুড়ে দেয়া হচ্ছে না দাবি করে টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আতাহার তাসলিম বলেন, ‘এসব পণ্য দিচ্ছে ডিলাররা। আর আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়া আর জাহাজ ফিরতে অতিরিক্ত সময় লাগায় তেলের সংকট। তবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যে বাজারে চাহিদার অতিরিক্ত সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো।’
সয়াবিন তেলসহ কয়েকটি ভোজ্যতেলে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে সরকার।
টেসকসই সমাধানের জন্য ভোজ্যতেলের উৎপাদন এবং সরবরাহের তথ্য উন্মুক্ত করতে মিল মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই ভোজ্য তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য যুক্ত করা যাবে না। এমনটা করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এখন থেকে ডিলারকে পণ্যের জন্য মিলে ট্রাক পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।’
মিল মালিকদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে পাইকারি ব্যবসায়ীদের তেল সরবরাহ করা এবং ব্যবসা বিকেন্দ্রীকরণের নির্দেশ দেন ভোক্তার মহাপরিচালক।