শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১২০

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১২০ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় প্লেনটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ১২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে ওই দুজন ছাড়া বাকি সব আরোহীই নিহত হয়েছে। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিল।

যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। এক দমকল কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে। প্লেনটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। এটি রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে।

ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এক যাত্রী ও এক ফ্লাইট সহকারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের দিক থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

মাঝারি আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে। ওই প্লেনটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি।

তবে পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন দমকল কর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এয়ারলাইন জেজু এক বিবৃতিতে এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুয়ান এয়ারপোর্টের দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবার কাছে আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা যা যা করার দরকার সব করব। এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। এই বিমান সংস্থাটির ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো দুর্ঘটনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কিন্তু কম বাজেটের এয়ারলাইন্স। দেশটির দমকল বিভাগের ধারণা পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com