চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে আগামীকাল রোববার (১৬ মে) থেকে দেশে ফিরতে পারবেন ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিকরা। দেশে প্রবেশের পর তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। এ সময় করোনায় আক্রান্তদের রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে। এছাড়া দেশে প্রবেশকারী সবাইকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
শনিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্তের তথ্য জানান কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশের পর প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদেরকে সেখানেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া এবং বাকীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে প্রাথমিকভাবে নার্সিং ইনস্টিটিউট ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নির্বাচন করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্ধারিত পরিবহনে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যাত্রীদেরকে পৌঁছানো হবে। কোয়ারেন্টিনে অবস্থানকালীন সকলকেই থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে। এ সময় দেশে প্রবেশকারীদের পাসপোর্ট পুলিশ হেফাজতে থাকবে। কোয়ারেন্টিন শেষে সিভিল সার্জনের ছাড়পত্রের পর পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হবে।
এদিকে পুরো প্রক্রিয়া তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনকে প্রধান করে ৭ সদস্যের মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা) আবু রাসেল, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি প্রতিনিধি, জেলা গ্রাম প্রতিরক্ষা ও আনসার বাহিনীর প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন মুক্তা ।
সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, সবাইকে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নিতে এরই মধ্যে অন্তত ৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ৪টি হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসকল যাত্রী ভারত থেকে ফিরবেন তাদের কোয়ারেন্টাইন নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।