অনলাইন নিউজ : দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন।
এর মধ্যে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ৬৫ জন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন।
সোমবার ঢাকা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকদের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এর মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৮ হাজার ১৯৯ জন ও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ১০৫ জনকে নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল।
পরে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন, যাদের ৩৪ হাজার ৭৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন।
বেসরকারিদের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার ৯০৪ জন ও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৬৯ জন চাকরি পেয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও যে ৪ হাজার ১৯৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি, তাদের প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া গেলে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।
এছাড়া নিয়োগ পাওয়া কোন শিক্ষক চাকরিতে যোগ না দিলে সেই পদে মেধাক্রমের পরবর্তী ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার ২২৫টি পদে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। এসব শূন্য পদে নিয়োগ দিতে আবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যেখানে আবেদন পাইনি, সেখানে প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার কিছু ভুল তথ্য ছিল। যেমন- নারীদের প্রতিষ্ঠানে শরীর চর্চা পদে পুরুষ প্রার্থী এসেছিল, তাদের সুপারিশ করা হয়নি। কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি হয়ে গেছে, সেখানেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অন্যান্য শূন্য পদে আবার নিয়োগ দেওয়া হবে।
এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ২ হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৪ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন সুপারিশ করে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২ হাজার ৬৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
দীপু মনি জানান, শিক্ষক সঙ্কট থাকায় ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ প্রতিবেদন না নিয়েই নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন চলমান রয়েছে। যেহেতু প্রয়োজনীয়তা আছে, শূন্যপদ পূরণ করা প্রয়োজন- সেজন্য ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বিরূপ কিছু থাকলে তাদের বাদ দেওয়া হবে।
নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই বিশাল নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষকের অভাব পূরণ হবে। একইসাথে এটি আমাদের বেকারত্ব হ্রাসেও ভূমিকা রাখবে।
এসব নিয়োগ নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষার মান উন্নয়নে তা ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে দীপু মনি বলেন, শিক্ষকদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার মতো দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।