রাজবাড়ী সংবাদদাতা :করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করলেও তা মানছেন না কেউ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা তো দূরের কথা মাস্কই ব্যবহার করছেন না অনেকে। এখনো ঈদ-উল-ফিতরের আরও বেশ কয়েকদিন বাকি। কিন্তু এরই মাঝে প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ চোখে পড়ার মতো।
শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। মানুষ নাড়ীর টানে বাড়িতে যাবার জন্য অতিরিক্ত ভাড়ায় গাড়িতে উঠছে গাদাগাদি করে। মনে হয় এখনই ঈদের আমেজ দৌলতদিয়া ঘাটে। ঈদ সামনে রেখে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে মানুষ। রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই। এর চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন এই চাপ আরও বেড়েছে। সকাল থেকেই ফেরিঘাটে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রীদের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়ায়।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই চলছে যাত্রী পারাপার। দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করছে এই ঘাট দিয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই মূলত ঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। শুক্রবার যেন মানুষের ঢল নেমেছে। যে যেভাবে পারছেন ঘাটে পৌঁছে ফেরি পার হচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব বা কোনো কিছুই মানছেন না তারা। যাত্রীদের পাশাপাশি দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছে তিন শতাধিক যানবাহন।
পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা খানজাহান আলী ফেরিতে কয়েক শত যাত্রী নদী পার হচ্ছে। যাদের কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অন্যদিকে আরেকটি ফেরিতে দেখা যায় প্রায় ৩০-৩৫টি ব্যক্তিগত গাড়ি। প্রতিটি ফেরিতেই এমন চিত্র দেখা যায়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করলেও তা মানছেন না কেউ।
ঢাকা থেকে ভেঙে ভেঙে আসা যাত্রী আবু সালেক বলেন, আমি ছাত্র। ঈদের মধ্যে সব কিছু বন্ধ থাকবে তাই আগেই ঢাকা ছাড়ছি। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম বলেন, আমরা চার বন্ধু মিলে একটা গাড়ি ভাড়া করে এসেছি। ঈদের মধ্যে মা-বাবার সঙ্গে না থাকলে কেমন হয়ে যায় না। তবে একটু ঝুঁকি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে এখন ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পার হচ্ছে। অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।