আসন্ন সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আগামী বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরে আগামী রবিবার পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টি-জাপার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রতিটি বাহিনী তাদের সদস্যদের মোতায়েন করবে। ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ ভোটকেন্দ্রে থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য। এদের মধ্যে পুলিশ আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের কাছে অস্ত্র থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবেন।
পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে আগামী ২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা মোকাবিলায়। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রাখা হবে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। যেকোনো অপরাধের তাত্ক্ষণিক বিচার কাজ সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরাও। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কার্যপরিধিও নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সিলেট-৩ আসনটি ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা নিয়ে গঠিত। এতে ৩ লাখ ৫০ হাজারের মতো ভোটার রয়েছে। এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ১১ মার্চ মারা যান। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করলে ১৪ জুলাই ভোটের তারিখ দেয় ইসি। ওইদিন জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় দলটি ভোট পেছানোর দাবি করে। সেই দাবি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ২৮ জুলাই ভোটের পুনঃতারিখ দেয় কমিশন। কিন্তু একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভোটের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার নির্দেশনাও দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে কমিশন ২৩ আগস্ট ভোটের নতুন তারিখ দেন আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।