বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা এবং সদরে মহানন্দা নদীর ভাঙনে নীদতীরবর্তী এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পদ্মার ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলি, চরআষাড়িয়াদহ, পোল্লাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প এলাকা এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙনে ফসলি জমি, মসজিদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে বহু মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সটি বরাবর নদী প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোনো সময় ভবনটি নদীতে নেমে যেতে পারে বলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানিয়েছেন। তিনি জানান, নারায়ণপুর ইউনিয়নের ১, ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডের শতাধিক ঘরবাড়ি ফসলি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুরে মহানন্দা নদীর ভাঙনে অন্তত ১০টি ঘরবাড়ি নদীতে দেবে গেছে।
ভাঙনকবলতি নদী তীরে বসবাসকারী আমেনা বেগম নূরেসা বেগম জানান, গত ১৫ দিন ধরে এই এলাকার বাড়িঘরগুলো নদীতে নেমে যাচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা বসবাস করছি। রাতের অন্ধকারে দেবে গেলে এলাকার বহু মানুষ মারা যাবে। জীবনের ভয়ে কেউ কেউ নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া বাসায় চলে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানান তারা।
এছাড়া দেবীনগর ইউনিয়নের হড়মা এলাকায় মহানন্দায় ভাঙন চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বলেন— শিবগঞ্জের মনোহরপুুুর ও আইয়ুবের ঘাট এলাকায় প্রায় দেড় থেকে ২ কিলোমিটারজুড়ে পদ্মা নদীর বামতীরে ভাঙন চলছে। নদী তীরের মানুষ ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া সদর উপজেরার পোল্লাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন— কল্যাণপুরের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।