বিডি ঢাকা ডেস্ক
নদীতে দুই মাসের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষে ৪ দিন পার হলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছে না জেলেরা। ইলিশ সরবরাহ কম থাকায় চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে এখনো জমে উঠেনি কেনাবেচা। যাওবা কিছু ইলিশ নিয়ে জেলেরা ঘাটে ভিড়ছেন, তার দাম আকাশছোঁয়া।
গত বছর এ সময় প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে একশ মণ ইলিশ চাঁদপুরের প্রধান মৎস্য আড়তে বেচাকেনা হতো। আর এই বছর প্রতিদিন ১০-১৫ মণ ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। জেলেদের জালে আহরিত ইলিশ চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে নিয়ে আসলে কর্মব্যস্ততা বাড়ে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে। তবে এবার সেই চিত্র ভিন্ন। মাছ কম থাক হাঁকডাক নেই আড়তে।
এদিকে চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চলের বেশ কয়েক জেলার ইলিশ ট্রলার ও ট্রাকে করে ঘাটে নিয়ে আসতো কিন্তু এ বছর ইলিশ কম পাওয়ায় দক্ষিনাঞ্চলের কোন ইলিশ ঘাটে আসছে না।
মাছঘাটে আসা জেলে ইদ্রিস শেখ বলেন, নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ কম। নদীতে স্রোত ও পানি কম থাকলে ইলিশ জালে উঠে না। ভোর থেকে জাল ফেলে এখন পর্যন্ত তেলের খরছ উঠে না। এ ভাবে চললে আমাদের ঋণের বোঝা আরো বাড়বে।
ক্রেতা রনি দেওয়ান বলেন, ইলিশ খুব কম, তারপর আবার দাম বেশি। গতবছরও একই অবস্থা ছিলো। আগে বিভিন্ন ধরনের মাছ এই আড়তে পাওয়া যেত কিন্তু এখন পাওয়া যায়। মাছ কই যায়, এটি নিয়ে কেউ ভাবছে না। দায়িত্ব অবহেলা সব যায়গায়।
বড়স্টেশন মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী রুবেল গাজী বলেন, এই মৌসুমে ইলিশ একেবারেই কম, যা আসলে তা দিয়ে বেচাকেনা চলে না। নদীর ইলিশ কম থাকায় দাম বেশি। বর্তমানে মাছঘাটে এখন এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২শ থেকে ২৩শ টাকা। আর ছোট আকারের ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ ১৩শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের পুরোপুরি মৌসুম শুরু হলে দাম কমতে পারে।