বিডি ঢাকা ডেস্ক
দূরপাল্লাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সকল রুটে শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে দুপুরে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ঢাকা কোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকেন। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়কের দ্বারিয়াপুর এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবহন রেখে সড়ক অবরোধ করেন। এতে জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ ও বিশ^রোড মোড়-অক্ট্রয় মোড় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
অবরোধকারী শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের একটি সংগঠনের নামে সড়কে চাঁদাবাজি করার প্রতিবাদে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়কে যাবতীয় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। তারা অবরোধ নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সড়কে চাঁদা আদায় বন্ধ না হলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না। এক পর্য়ায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সোয়া ৪ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
দুরপাল্লার বাস কর্মচারীদের সংগঠন ঢাকাকোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, হরিপুরে সকল রুটের দূরপাল্লার বাস থামিয়ে সার্ভিস চার্জের নামে চাঁদা আদায় করছে বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। যার রেজিঃ নম্বর ৩০৬৩। কেউ চাঁদা দিতে না চায়লে তাদেরকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা ঢাকাসহ দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম আনার বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। এরপরও যদি চাঁদা আদায় করা হয় তাহলে আবারো অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, আমরা জোরপূর্বক চাঁদাদাবি করছি না। আমরা ৩০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ তুলে আসছি। এসব টাকা দিয়ে সংগঠনটির শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করা হয়। আমাদের সংগঠন বৈধ সংগঠন। আমরা কাউকে লাঞ্ছিতও করছিনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস্) এ.এন.এম. ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, অবরোধকারী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদ মৌসুমে জনদুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি যেন আর না দেয়া হয় সে জন্যই শ্রমিকদের বলা হয়েছে।