বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেজিষ্ট্রেশনবিহীন নকল কীটনাশক সরবরাহের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নকল ৫০০ কেজি দানাদার কীটনাশক মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার শান্তিমোড় এলাকা হতে ল্যান্ডফুরান নামক নকল কীটনাশক উদ্বার করার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করা হয়। নকল কীটনাশক বাজারজাত করার দায়ে শিবগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সেরাজুল ইসলামের
ছেলে তরিকুল ইসলামকে এই জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. রওশন আলী। পরে ৫০টি কার্টুনে থাকা ৫০০ কেজি নকল দানাদার কীটনাশক প্যাকেট খুলে মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সলেহ্ আকরাম মুঠোফোনে বলেন, আগামী কয়েকদিন পর থেকেই ধানে দানাদার কীটনাশকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই
চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা এমন রেজিষ্ট্রেশনবিহীন নকল কীটনাশক বাজারজাত করে থাকে। বুধবার একটি কীটনাশক বোঝাই গাড়ি থেক এসব নকল কীটনাশক জব্দ করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন। তিনি আরও জানান, সদর উপজেলার দিয়াড় অঞ্চলের দিকে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে নকল কীটনাশকগুলো পরিবহন করা হচ্ছিল। এছাড়াও একই গাড়িতে থাকা আরও কিছু কীটনাশকের নমুনা নেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের
মধ্যে সেগুলোর পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। সরবরাহকারী তরিকুল ইসলামকে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত গাড়িতে থাকা কীটনাশকগুলো বাজারজাত না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কানিজ তাসনোভা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল হক মাহমুদসহ অন্যান্যরা।