বিডি ঢাকা স্টাফ রিপোর্টার
ফুলপুরে বস্তাবন্দি নারীর লাশ খুলনার দৌলতপুর থানার উত্তর বণিকপাড়া মহেশ্বরপাশা গ্রামের মৃত মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা বেগম (৫২)’র বলে শনাক্ত করেন তার ছোট মেয়ে মরিয়ম মান্নান। গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় এসে বিভিন্ন আলামত দেখে তিনি ওই লাশ শনাক্ত করেন। জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়নের বওলা পূর্বপাড়া গ্রামের একটি কবরস্থানে ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি এক নারীর লাশ উদ্ধার
করা হয়। পথচারীদের নাকে লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে ফুলপুর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল মোতালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে ময়না তদন্তশেষে তার লাশ ফুলপুরে এনে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে কাজিয়াকান্দা মাদরাসা সংলগ্ন আঞ্জুমান কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ ও বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হলেও নিহত নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না।
এদিকে, খুলনার দৌলতপুর থানার উত্তর বণিকপাড়া মহেশ্বরপাশা গ্রামের মৃত মান্নান হাওলাদারের স্ত্রীকে ২৭ আগস্ট থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই রাতে সাড়ে ১০টার দিকে তিনি পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নামলে আর ফেরেননি। পরে তার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজির পর জানতে পারেন যে, ফুলপুরে এ ধরনের একটি লাশ পাওয়া গেছে। সেইসূত্র ধরে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নিহত রহিমার ৫ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে ৪ মেয়ে যথাক্রমে মনি, মাহফুজা, আদরী ও ঢাকা তেজগাঁও
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মরিয়ম মান্নান ফুলপুর থানায় এসে তার মায়ের পায়জামা দেখে শনাক্ত করেন যে, এটাই তাদের মা রহিমার লাশ। আর কামিজের বিষয়ে বলেন যে, ওটা তাদের ভাড়াটে এক মহিলার কামিজ। লাশ শনাক্তের সময় তাদের চাচাতো ভাই রুম্মান, ভাবী ও ভাইপো থানায় উপস্থিত ছিলেন। এসময় র্যাব-১৪-এর একটি টিম ও পিবিআই-এর একটি টিম উপস্থিত ছিল। এ ব্যাপারে ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এটাই যে মরিয়মের মায়ের লাশ তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। রবিবারে আদালতে ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করা হবে। ডিএনএ টেস্টের পর পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে লাশটি রহিমার কিনা।