দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে বেগুন, কাঁচা মরিচ, শসা ও লেবুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতা সাধারণ।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান শুরুর পর থেকে চাহিদা বেড়ে যাওয়াসহ আমদানিক কম হওয়ার জন্য বেগুন, কাঁচা মরিচ, শসা ও লেবুর দাম একটু বেড়ে গেছে। তবে অন্য সবজির দাম কোনো কোনোটির কমেছে আর অন্য গুলোর দাম অপরিবর্তীত রয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। অথচ রমজান শুরুর দুইদিন আগেও একই বেগুন বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। একইভাবে, ২০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ১০ টাকা কেজির শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায় আর ১০ টাকা হালির (৪ টা) লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালি দরে।
সবজি বাজারে সবজি কিনতে আসা হোটেল ব্যবসায়ী উজ্জল মহন্ত বলেন, বাজারে আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তীত থাকলেও রমজান শুরুর পর থেকে দাম বেড়ে গেছে বেগুন, কাঁচা মরিচ, শসা ও লেবুর দাম। এতে হোটেলের প্রয়োজনের তুলনায় কম করে কিনতে হচ্ছে এসব সবজি পণ্য।
সবজি কিনতে আসা এনজিও কর্মী রাকিব হাসান জনি বলেন, কিছুদিন আগেও বেগুন, কাঁচা মরিচ, শসা ও লেবুর দাম সকল শ্রেণির ক্রেতার নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের পক্ষ এসব সবজি পণ্য প্রয়োজন মাফিক কেনা কষ্টকর হয়ে গেছে।
সবজি বিক্রিতা হারুন উর রশীদ ও শাহ জামাল বলেন, রমজান মাস শুরুর পর থেকে বেগুন, কাঁচা মরিচ, শসা ও লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাইকারি বাজারে আদমানি কম হওয়ায় দাম একটু বেড়ে গেছে। আমদানি বেড়ে গেলে দামও কমে আসবে। তবে অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এরমধ্যে কোনো কোনো সবজির দাম আরও কমে এসেছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে যাতে করে কেউ অযাচিতভাবে কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করতে না পারে।