বিডি ঢাকা ডেস্ক
ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা সদরের (কাহারোল-বীরগঞ্জ) বন বিভাগের কার্যালয় ও কমকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে সরকারি কার্যক্রম ও বসবাস। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কার্যালয় ও বাসভবন সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের কোনো নেই উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন বিভাগের অধীন উপজেলা রেঞ্চ কার্যালটি জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই কার্যালয়েই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিদিনকার কাজকর্ম করতে দেখা যায়। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত বাসভবন এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া বাসভবন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তা পরিত্যক্ত হিসেবে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম হেলালের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাহারোলে বন বিভাগের কার্যালয়, বাসভবন এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৯৮৩ সালে। আমি যতদূর জানি, কার্যালয় নির্মাণের পর কয়েকবার সংস্কার ও রঙের কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এরপর বিগত কয়েক বছরে সংস্কার বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। আমি যে কক্ষে বসে কাজ করে সেই কক্ষের ছাদের প্লাস্টার খুলে পড়ে রড বের হয়ে গিয়েছিল। যে কোনো মুহূর্র্তে ধসে পড়ার আশঙ্কায় ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি এই কার্যালয় ও বাসভবনগুলো নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, উপজেলার বন বিভাগ থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায়। অথচ বন বিভাগের কার্যালয় ও বাসভবনগুলো নতুনভাবে নির্মাণ না করার ফলে এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ বন কার্যালয় থেকে বীরগঞ্জ ও বোচাগঞ্জ এসএফপিসি নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।