মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

বরই চাষে বাগানীরা লাভবান হলেও, বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২
  • ১৮৫ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ নওগাঁর পত্নীতলায় বরই চাষে বরই বাগানীরা লাভবান হলেও মৌসুমের শেষ সময়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে খ্যাত জেলার সীমান্তবর্তী এ জেলায় এবার রেকর্ড পরিমান বরই চাষ হয়েছে।যার ফলে বহুগুনে বেড়েছে উৎপাদন মাত্রা। জমির মালিক কাউকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমি আম বাগান তৈরিতে লিজ/ইজারা দিয়েছেন, সেই ইজারাদার ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বরই মুকুল এলেই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে ওই বছরের ফল বিক্রি করার চুক্তি করে ফেলেন।

এর মধ্যে অনেকেই আবার মৌসুমের প্রথম দিকে চড়া মূল্য হওয়ায় নিজেই শ্রমিক লাগিয়ে ফল পেড়ে বাজারে বিক্রি করেন যা এবারও হয়েছে। এবার মৌসুমের প্রথম দিকে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বরই বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন পর ওই ইজারাদার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে পুরো বাগানের ফলের আনুমানিক মূল্য ধরে বিক্রি করেন। আর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তা ক্রয় করে শ্রমিক লাগিয়ে অথবা নিজে ও পরিবারের লোকজন নিয়ে বরই পেড়ে তা বাজারে তোলেন।

শুক্রবার (১১ মার্চ) পত্নীতলা সদর নজিপুর পৌরসভায় সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আপেল কুল,বল সুন্দরী বিক্রি নাম মাত্র মূল্য ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকায়। টক জাতীয় শুটকি বানানোর বরই বিক্রি হচ্ছে ৭-১০ টাকায়।

পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডেও মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায় , তিনি এবার (৩৩) শতক মাপে ৫ বিঘা বরই বাগান কিনেছেন ১ লক্ষ টাকায়। এর মধ্যে বাগানের তিন ভাগের এক ভাগ বরই তিনি বিক্রি করেছেন যা থেকে তিনি প্রায় ৫০,০০০ টাকা পেয়েছেন। আরো দুই ভাগ বরই গাছেই রয়েছে তা থেকে তিনি আশা করছেন আরো ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে প্রথম দিকে বাজার মূল্যে বিক্রি হলেও, নিত্য পণ্য বাজারের উর্ধ্বগতি আর বরই বাজারে ধস নিয়ে তিনি চিন্তিত। অ

ন্যান্য বার নিজ এলাকা ছাড়া পাশের এলাকা ও শহরে বরই বিক্রি করা গেলেও এবার বাজারের এমন ধসে পরিবহন খরচই সামলানো যাচ্ছেনা। এক রকম বাধ্য হয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বরই নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। দোকানদার অনেক ক্রেতা নগন্য।নিজে ও পরিবারের লোকজনদের নিয়েই বাগান থেকে ফল তুলে বাজারে আনতে হচ্ছে ,অন্যদিকে রাতেও দেখভাল করতে হয় বাগানের। তাই বাগানীরা লাভবান হলেও অধিক মুনাফার আসায় বাগান ক্রয় করে বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com