বিডি ঢাকা ডেস্ক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করলেও বরিশালে মহাসড়ক অবরোধে নেমে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জরিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ইট পাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায় টিয়ারশেল ছুড়ে ছত্রভংগ করা হয় আন্দোলনকারীদের।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির পাশাপাশি সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে তারা বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা, চৌমাথা ও আমতলার মোড়ে এ অবরোধ করা হয়।
জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আন্দোলন শুরু করলেও দুপুর দেড় টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরীর চৌমাথা এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কয়েক দফায় টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এরপর শিক্ষার্থীরা পার্শবর্তী হাতেম আলী কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
অন্যদিকে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকায় আরেক দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জয়ায় শিক্ষার্থীরা। সেখানেও পুলিশ লাঠিচার্য ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এই দুই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেছেন আন্দোলনরতরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সকল চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনে হামলা হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তারা। এদিকে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে সড়কের দুইপাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। ভোগান্তিতে পরেন যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌছান।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জনসাধারণের জান মালের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়েছে।