বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক: সারি সারি আম ভর্তি ডালি। বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা নেই। হতাশ আম বিক্রেতারা। এখানে ওখানে বসে দাঁড়িয়ে একে অপরের সাথে আম বিক্রি নিয়ে নানা কথা পরামর্শ আলোচনা করছেন আম বিক্রেতারা। এ চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা আম ফাউন্ডেশনের।
ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র আম বিক্রয় কেন্দ্র হচ্ছে আম ফাউন্ডেশন । যেখানে ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে আম ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতে থাকে সরগরম। গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমের দাম ভাল থাকলেও ১৯ জুলাই থেকে পাল্টে গেছে সে চিত্র । ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়েছে আম ফাউন্ডেশন। সারি সারি আমের ডালি সাজিয়ে রাখলেও কোন ক্রেতা নেই। অলস সময় কাটাচ্ছেন আম বিক্রেতারা।
সরজমিনে গিয়ে কথা হয় আম বিক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, এখন বাজে দুপুর ১ টা। আমের বাজারে ক্রেতা না থাকায় আম বিক্রি করতে পারছিনা। এর আগে আম বিক্রি করতে এসে সকাল ১০ টার মধ্যে বিক্রি করে চলে গিয়েছি। আরেকজন আম বিক্রেতা মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, গত কাল আশি^না আম বিক্রি করেছি ২হাজার৫’শ টাকা থেকে ২হাজার ৭’শ টাকা মণ দরে। আজ হঠাৎ ১হাজার৫’শ থেকে ১হাজার ৭’শ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে চাইলেও ক্রেতা না থাকায় বিক্রি করতে পারছিনা।
আম আড়ৎদার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গার ভোক্তাদের আমের চাহিদা না থাকায় মোকাম থেকে ব্যাপারিরা আসছেন না। তাছাড়া বাইরে আমের দাম কমে গেছে। ফলে আম ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমার আড়তে প্রায় ২৫ জন শ্রমিক বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। আম ক্রয় করতে না পারায় শ্রমিকেরা ঘুমিয়ে বসে দিন পার করছেন।
এ ব্যাপারে আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুনসুর আলী জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারিরা না আসায় আম বিক্রি হচ্ছে না। এতে চরম ভাবে আম ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আম ক্রয়- বিক্রয়সহ নানা কাজে শত শত শ্রমিক কাজ করেন তাঁদের কাজও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে তাঁরাও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।