আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখনো অনেক বেশি। এতে বেকায়দায় পড়েছেন ভোক্তারা। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত (ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডেয়েট) এক ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৮৮ ডলার। যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। অন্যদিকে সম্প্রতি বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের এক ব্যারেল তেলের দাম ৯০ ডলারে পৌঁছায়।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে পেট্রলের গড় দাম বাড়ে গ্যালনপ্রতি তিন দশমিক ৩৮ ডলার। যা সম্প্রতি কমা তিন দশমিক ২৮ ডলার থেকে ১০ সেন্ট বেশি।
যদিও ওপেক ও এর মিত্ররা সমস্যা সমাধানে চাপে রয়েছে। জ্বালানির দাম নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা ভোক্তাদের জন্য সুসংবাদ হলো ওপেক প্লাস এরই মধ্যে তাদের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) তারা দৈনিক উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারে বলে জনায় গোল্ডম্যান শ্যাস। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সোমবার রাতে গোল্ডম্যান শ্যাস একটি প্রতিবেদনে জানায়, তেলের দাম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অঞ্চলে প্রবেশ করছে বিষয়টি এমন নয়। তবে বুধবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর ওপেক মাসিক তেল উৎপাদন বাড়াতে পারে বলে জানানো হয়।
গোল্ডম্যান শ্যাসের কৌশলবিদরা লিখেন, সাম্প্রতিক গতি ও তেল আমদানিকারক দেশগুলোর চাপের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।