বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক :
কয়েক মিনিটের বৃষ্টি হলেই আশেপাশের সকল পানি এসে জমা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের ফুলতলা মোড়। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন এই মোড় দিয়ে যাতায়াতকারী অন্তত ১০টি গ্রামের পথচারীরা। সামান্য বৃষ্টিতে কয়েকদিনের দুর্ভোগে পড়েন এই রাস্তা ব্যবহারকারী পথচারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা , এ যেন দেখার কেউ নেই ।
তাদের দাবি, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারনে তাদেরকে প্রতিনিয়ত এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও জমে ফুলতলা মোড়ে জ্বমে থাকা পানিতে নানারকম সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের।
জানা যায়, শিবগঞ্জের ছাত্রাজিতপুর ইউনিয়নের মিয়াপাড়া, ডাকাতপাড়া, খুলুপারা, সোনারপাড়া,দর্গাপাড়া, রাজপাড়া, ভাটোটোলা, বহালাবাড়ি, হাউস নগর, চন্ডিপুর, মর্দনাসহ আশেপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে ফুলতলা বাজার হয়ে। শিবগঞ্জ উপজেলা শহরে নানারকম কাজ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করাসহ নানারকম কাজ এই মোড় হয়ে যাতায়াত করেন পথচারীরা। বৃষ্টি হলেই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক বলেন, সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুভর্তি পানি জমে যায় ফুলতলা মোড়ে। যাতায়াত করা যায় না। অনেক সময় গাড়ি, অটো উল্টে যায়। যাত্রীদের নানাভাবে বেহাল অবস্থায় পড়তে হয় পানি জমে থাকার কারনে। এই মোড় দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমাদের সকলের দাবি, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।
অটো চালক নায়েম জানান, ভোটের আগে সবাই এসে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরে আর খোঁজ নেয়ার কেউ থাকে না। এতো অতীব জরুরি একটি সড়কের পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নিতে কোন উদ্যোগ নেয়ার বালাই নেয়। বর্ষার সময়ে কয়েকমাস ধরে এই ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের।
ছত্রাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আপন আলী বলেন, ফুলতলা মোড় হয়ে আমার সাথে অনেকেই প্রতিদিন স্কুলে আসে। বর্ষার সময়ে নানারকম দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের। অনেকেই পানিতে পড়ে স্কুল ড্রেস নষ্ট হয়ে ক্লাসে যাওয়া হয় না।ফুলতলা থেকে ডাকাত পাড়া পর্যন্ত ২০০ ফিট আনুমানিক রাস্তা উঁচু করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।