অনলাইন নিউজ : রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নাহিদ মিয়াকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে ছোরা হাতে যাকে দেখা গেছে তার নাম ইমন।
এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান নাহিদকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সেদিনই তার মৃত্যু হয়। নাহিদ নিহতের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়।
এ-সংক্রান্ত ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, নাহিদকে কুপিয়ে জখম করা হেলমেট পরিহিত ব্যক্তির নাম রাব্বি। রাব্বি নর্থ হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
তবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশিনার এ কে এম হাফিজ আক্তার রবিবার সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, গণমাধ্যমে নাহিদ হত্যায় জড়িত বলে রাব্বির নাম আসলেও তদন্তে দেখা গেছে ঘটনার সময় রাব্বি দিনাজপুরে ছিলেন।
পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে কারো নাম প্রকাশ না করার বিষয়ে গণমাধ্যমকে আরো সতর্ক থাকার কথা পরামর্শ দেন তিনি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের টিম মাঠে রয়েছে। নাহিদকে যে কুপিয়েছে তার নাম ইমন। আমাদের মূল টার্গেট সে। ঘটনার সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় কালো চেকের টি-শার্ট গায়ে হাতে রামদা থাকা যুবকের নাম কাইয়ুম, হলুদ হেলমেট মাথায় রামদা হাতে কাউসার ও কালো হেলমেট মাথায় ছাত্রলীগ নেতা শাহীন সাদেক মির্জার চিহ্নিত বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমনের গ্রামের বাড়ি খুলনা। তিনি কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ছাত্র। ইমন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সামাদ আজাদ জুলফিকারের অনুসারী।
ঘটনার দিন ইমনের মাথায় ছিল কালো হেলমেট, পরনে ছিল ধূসর টি-শার্ট।