শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন

ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে পবায় রাস্তায় আলু ফেলে কৃষকদের বিক্ষোভ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

রাজশাহীর হিমাগারগুলোতে আলু মজুদের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৮ বস্তা আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকেরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পবা উপজেলার বায়া এলাকায় সরকার কোল্ড স্টোরেজের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে ৮ বস্তা আলু ফেলে এ বিক্ষোভ করেন কৃষকেরা। এ সময় স্থানীয় বিএনপি এ কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়েছেন।

কৃষকেরা জানান, প্রতি কেজি আলু সংক্ষণের জন্য আগে রাজশাহীর হিমাগারগুলোকে ৪ টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার তা বৃদ্ধি করে ৮ টাকা করা হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই তারা দ্রæত আগের ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান। হিমাগারে ভাড়া না কমালে এবার তারা প্রয়োজনে আলু ফেলে দেবেন, কিন্তু হিমাগারে রাখবেন না।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে কৃষকেরা ওই এলাকায় পথসভাও করেন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘হিমাগার মালিকেরা সিন্ডিকেট করে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন। এ ভাড়া কার্যকর হলে বাজারে আলুর দাম বাড়বে। এটি হতে দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, আগের বছরগুলোতে আলু সংরক্ষণ করা হতো বস্তা হিসেবে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তার জন্য ভাড়া নেওয়া হতো ৩৪০ টাকা। হিমাগার মালিকেরা ৫০ কেজির বস্তাতেই আলু দেওয়ার কথা বললেও ফড়িয়ারা ৮০ কেজির বস্তাতেও আলু রাখতেন। এতে হিমাগার মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। তাই তারা এবার নিয়ম করেছেন, কেজি হিসেবে সংরক্ষণ ভাড়া নেওয়া হবে।

হিমাগার মালিকেরা বলছেন, ৫০ কেজির বস্তার জন্য আগে ৩৪০ টাকা নেওয়া হলে ভাড়া পড়তো ৬ টাকা ৮০ পয়সা। কিন্তু ফড়িয়ারা বস্তায় এত বেশি আলু দিতেন যে, ভাড়া পড়ত ৪ টাকা। অথচ বস্তায় ৫০ কেজির বেশি আলু না ঢোকানোর জন্য সরকারের নির্দেশনাও আছে। তা প্রতিপালন না করায় বাধ্য হয়েই তারা কেজি হিসেবে ৮ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বলেন, ‘ভাড়া কেন্দ্রীয়ভাবেই নির্ধারণ হয়। এবারও সেটাই হয়েছে। ৫০ কেজির বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আমরা এবার কেজি হিসেবে গিয়েছি। কারণ, বেশি ওজনের বস্তা টানা হিমাগারের শ্রমিকদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা কেজি হিসেবে গেলেও এটা বলছি না যে, ৮ টাকাই দিতে হবে। হিমাগার মালিকেরা যে যার সক্ষমতা অনুযায়ী এ ব্যাপারে ছাড় দেবে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে ভাল হয় এ ব্যাপারে সরকার হস্তক্ষেপ করলে। সরকার তো সব বিষয়ই দেখছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে সরকার সবার জন্য একটা যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেই ভালো হয়। সরকার যদি এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়, আমরা তা মেনে নেব বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com