আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে ভারতের মহারাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
রয়টার্সের খবরে আরো বলা হয়, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারি বৃষ্টির কারণে জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে পানির নিচে এখন বহু এলাকা।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানান, ভারি বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূমিধস ও নদীতীরবর্তী অনেক এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নদ-নদীর পানি উপচে পড়ে ভেঙে যাচ্ছে শহর রক্ষা বাঁধ।
বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে নৌ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নদীতীরের মানুষদের। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার। এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে তীব্র হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কট।
মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে গত দুই দিনে। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ১৫ জনের। টানা বৃষ্টিতে ভূমিধস, বাড়িঘর ভেঙে ও বিদ্যুতায়িত হয়ে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ভূমিধসে আটকা পড়ে থাকতে পারেন আরো অনেকে। উদ্ধার অভিযানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ সপ্তাহের শুরুতে টানা ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়। বৃষ্টির কারণে গত ২০ জুলাই মুম্বাইয়ে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়। গত ২১ জুলাই জারি করা হয় ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’। এরপর গত বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টির শঙ্কার কথা জানিয়ে আবহাওয়া বিভাগ মুম্বাইসহ কয়েকটি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বাণিজ্যিক নগরী মুম্বাইসহ রাজ্যের একাধিক জেলায় এখন জারি রয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’।
প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ায় জুন ও সেপ্টেম্বর মাসের এই সময়ের মধ্যে ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।