নিউজ ডেস্ক : আসলামুল হক আমার অনেক ছোটকালের বন্ধু। আমার সঙ্গে তাঁর ‘তুই তুই’ সম্পর্ক। হুট করে এভাবে না ফেরার দেশে চলে গেল, ভাবতেই পারছি না। ও মারা যাওয়ার ৮-৫ দিন আগেও অর অফিসে দেখা হলো আড্ডা হলো। কে জানতে এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে সে।
সদ্যপ্রয়াত ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের সঙ্গে স্মৃতিকথা ভাগ করলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা আসলামুল হকের অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। বৃহপতিবার বিকেলে জানালেন এই শূন্য আসনে তিনই প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।
ডিপজল বলছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে ঢাকা – ১৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন, আমার এলাকার মানুষ এর সেবা করার সুযোগ দেন, তাহলে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী।’
কালের কণ্ঠকে ডিপজল বলেন, আমি নিজের জন্য অনেক করছি। আজীবন নিজের জন্যই করেছি। এবার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমি আমার সবকিছুর বিনিওময়ে এবার মানুষের সেবা কোরতে চাই। আমার বন্ধু আসলামুল হক অকালে না ফেরার দেশ্যে চলে গেল, তার জন্য হলেও আমি মিরপুরের এই আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই।
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি চান তাহলে আমি নির্বাচন কোরতে চাই। আমি এর আগে কমিশনার ছিলাম। তখন খুব অল্প পরিসরে কাজ কোরতে পেরেছি। এখন সময়টা পুরোপুরো মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চাই।
ডিপজল বিএনপির রাজনীতি করতেন এমনও শোনা যায়। তবে এর স্পষ্ট জবাব ঢাকাই ছবির এই অভিনয়শিল্পী। ডিপজল বলেন, আমি কোনো কালেই বিএনপি ছিলাম না। আমাকে বিএনপি বানিয়ে রেখেছিল। আমি যতদূর জানি বিএনপির কোথাও আমার নাম নেই। আমার প্রথম দল আওয়ামী লীগ। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।’
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপজল বলেন, ‘আমি তো কোনো দলের হয়ে কাউন্সিলর ইলেকশন করিনি। কেউ বলতে পারবে না। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছি বিধায় আমি সকলের কাছে জনপ্রিয়।’
এর আগেও ডিপজল আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন। তবে সেবার ডিপজল নন আসলামুল হক পেয়েছিলেন নৌকার বৈঠা।