অনলাইন নিউজ : মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ২২ আগস্ট পরীমনির জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। পর দিন আরেক দফা আবেদনে ‘দ্রুত শুনানির’ আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবী। এতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। সেখানে রুল চাওয়ার পাশাপাশি পরীমনির জামিন আবেদনও করা হয়। হাইকোর্ট ১৩ সেপ্টেম্বর ২১ দিন বিলম্বে তারিখ ধার্য হওয়ায় গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশকে ২ দিনের মধ্যে কেন জামিন শুনাননির নির্দেশ দেয়া হবে না এই মর্মে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারণ দর্শানোর রুল জারি করেন।
দায়রা আদালত বিলম্বে তারিখ ধার্যকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ ওই আদেশ প্রদান করেন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের ওই আদেশ পাওয়ার পর মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ ৩১ আগস্ট পরীমনির জামিন শুনানির তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেন।
গত ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তৃতীয় দফা এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। এরপর গত ২১ আগস্ট ওই একদিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন শুনানি শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (নি.) কাজী গোলাম মোস্তফার আবেদন অনুযায়ী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমনি ও রাজ এবং তাদের ম্যানেজারদের মাদক মামলায় চারদিন করে ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গত ৪ আগস্ট বিকেল চারটার পর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, আইস, এলএসডি এবং একটি পাইপ জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মাদক আইনে একটি মামলা করেন।
পরীমনির মামলায় বলা হয়, পরীমনি এসব মাদকদ্রব্য কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন। মামলায় কবিরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ নেই। একই মামলায় আবার র্যাব দাবি করেছে, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারলে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।