বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে জেলা শহরের শহীদ সাটু অডিটরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহা. এমরান হোসেনকে সভাপতি ও শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফকে কামিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুজার গিফারিকে সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা মো. আব্দুল হাই কামাল সিদ্দিকীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মো. আব্দুল খালেক ও মাও আব্দুর রউফ, মো. আবু সালেহকে সহ-সভাপতি, মো. মুনিরুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুন হিসাব রক্ষক করে ৪ বছর মেয়াদি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিদায়ী সভাপতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. আবু সালেহর সভাপতিত্বে ও মো. আবুজার গিফারির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, উপদেষ্টা আলহাজ রফিকুল ইসলাম, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফকে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক, প্রসাদপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাই সিদ্দিকী কামাল, হাজি এসান মোহাম্মদ কারিগরি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ, কানসাট ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলনা মো. আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরে সম্মেলন থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর বিভিন্ন দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাদ্রাসাগুলো সরকারিকরণ, দীর্ঘদিন থেকে মঞ্জুরিপ্রাপ্ত দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাগুলোতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি এমপিওভুক্তিকরণ, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ছাত্রদের উপবৃত্তি ও টিফিন, সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো বেসরকারি মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণ ঈদ বোনাস, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা, প্রতিটি গ্রাম/মহল্লায় কমপক্ষে ১টি করে সরকারি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা করা, বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো ৬৫ বছর করা, ১৯৮২ সালের জনবল কাঠামো ১৯৮৯ সালের স্টাফিং প্যাটার্ন অনুযায়ী কামিল মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিল ১০ জন। কিন্তু ২০১৮ সালের জনবল কাঠামোতে করা হয়েছে ৪ জন। অতএব ১৯৮২ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী কামিল মাদ্রাসায় ১০ জনসহ ফাজিল, আলিম ও দাখিল মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা।