টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের দড়িবহর গ্রামের রায়হান মিয়ার অতি যত্নে লালিত ষাঁড়ের নাম অন্তর বাবু। এ বছরে উপজেলার সব চাইতে কোরবানির পশু বলে ধারনা করা হচ্ছে এই ষাঁড়টিকে। আকারে ৯ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা, ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা আর ওজন প্রায় ২৮ মন। বেশ আদরেই লালন পালন করা হয়েছে সাড়ে ৬ বছর বয়সী অন্তর বাবু ষাঁড়কে।
জানা যায়, এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ৯শ’ টাকা। খাবার হিসেবে থাকছে খেসারির ডাল, কলা, খৈল, খড়, ভুসি, ধানের কুড়া, ছোলা প্রাকৃতিক ঘাস খাওয়ানো হয় বলে জানান রায়হান মিয়া। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সেই অন্তর বাবুর দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। অন্তর বাবুর আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে উপজেলার সবচাইতে বড় পশু বলে দাবি রায়হান মিয়ার। অন্তর বাবুকে দেখতে প্রতিদিন ওই কৃষকের বাড়িতে ভিড় করেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কৃষক রায়হান মিয়া জানান, আমি গরিব মানুষ কৃষি কাজ করে সংসার চালায়, আমার দুই মেয়ে, ছেলে নাই, মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার পর আমি এই ষাঁড়টিকে অনেক মায়া মমতা দিয়ে লালন পালন করেছি। ৪ বছর আগে আমি পাশের গ্রাম থেকে আড়াই বছরের অন্তর বাবু কে ১ লাখ টাকায় কিনে লালন পালন শুরু করি। এই চার বছরে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। কোনো প্রকার মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ছাড়াই গরুটির ওজন ২৮ মণ হয়েছে।
জানতে চাইলে মির্জাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাইফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর বাবু নামের ষাঁড়টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এখনও আমরা এর থেকে বড় কোন ষাঁড়ের খবর পাইনি। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি রায়হান মিয়ার সাথে। অন্তর বাবু সাধারণ খাবার খেয়েই বেড়ে উঠছে।