রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে দিন-রাত অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা ও সহকারী কমিশনার ভুমি জোবায়দা সুলতানা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে এ অভিযান চালানো হয়।
এদিন বিকালে ৫নং বাকশিমইল ইউনিয়নের পত্রপুর কালিগ্রাম গ্রামে বিলে অবৈধ পুকুর খনন কালে সেখান হতে দুই জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান করেন, উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আয়শা সিদ্দিকা।
আসামীরা হলেন, উপজেলার পোল্লাকুড়ি গ্রামের ছলিম মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৩৬), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার সরাতুল গ্রামের আজগর আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন(৩২)। তাদেরকে ৭দিনের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করা হয়।
পরে জানা যায়, ১নং ধূরইল ইউনিয়নের ধূরইল গ্রামের সাদিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি মল্লিকপুর বিলে ফসলি জমি জোরপূর্বক অবৈধ পুকুর খনন করার উদ্দেশ্যে একটা বড় ভেকু (স্কিটিভার) মেশিন নামিয়ে প্রস্তুতি নিলে মল্লিকপুর,পাঁচপাড়া,খাঁনপুর, লালপুর গ্রামের এলাকার কৃষকেরা রাতেই পুকুর খননে বাধা দেয় এবং শতশত বিক্ষুব্ধ জনতা একত্রিত হতে থাকে। এই ঘটানাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ভেকু গাড়িটি ভাংচুর করে।
গ্রামবাসীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিতভাবে অভিযোগও দায়ের করেন। এলাকাবাসী বলেন, এখানে পুকুর হলে পানি নিঃস্কাশনের অভাবে শতশত বিঘা ফসলি জমি ও আসেপাশের গ্রাম গুলো পানিতে ডুবে যাবে। এ সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) জোবায়দা সুলতানা এবং থানা পুলিশ,আনছার বাহিনী নিয়ে মল্লিকপুরে বিলে রাত ১০টার দিকে সরেজমিনে উপস্থিত হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্ত্তেজিত জনতাকে বলেন, এখানে আপনাদের ফসলি জমি নষ্ট করে কেউ অবৈধ পুকুর খনন করতে পারবে না। আপনাদের পাশে সর্বদা প্রশাসন ও আইন থাকবে। প্রয়োজনে কৃষকেরা আদালতে মামলার মাধ্যমে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনতে পারেন। পরে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। এ সময় এলাকাবাসী বিলের পানি নিস্কাশনের জন্য একটা ব্রীজ ও খাল সংস্কারের দাবি জানান।