ময়মনসিংহ সংবাদদাতা :প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় যুবককে আটক করে প্রতিবেশীরা। এর পর ওই যুবককে ধরে রাতভর বেঁধে রেখে দিনভর সালিস করে স্থানীয়রা। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫০ হাজার টাকা রফায় প্রেমিককে মুক্তি দেওয়া হয়। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও বিলপাড়া গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সালিসরত অবস্থায় পুলিশকে জানালেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ওই গ্রামের গার্মেন্টকর্মীর (১৬) সাথে প্রেমের সর্ম্পক হয় উপজেলার মুশলী ইউনিয়নের কিসমত রসুলপুর গ্রামের আবু ব্ক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. বিপ্লব মিয়ার (৩২)। বিপ্লব বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, ওই সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা লোকজন ঘরে প্রবেশ করে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে। পরে রাতভর বিপ্লবকে বেঁধে রেখে সকাল থেকেই একদল সালিসকারী তৎপরতা দেখিয়ে কয়েক দফা সালিসে বসে। বিকেলে সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, কিশোরীর বয়স কম তাই বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়াও বিপ্লবকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত বিপ্লবের পরিবারের পক্ষ থেকে সালিসকারীদের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিলে বিনা বিচারে মুক্তি পায় বিপ্লব।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ৪নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, সালিসে সিদ্ধান্তের পর আমি শেষ মুহূর্তে ছিলাম না। তবে মেয়েটি সালিসে বলেছে, আরো বেশ কয়েকদিন তার ঘরে এসে বিপ্লব রাত্রি যাপন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযুক্ত বিপ্লবের পক্ষের একজন বলেন, ‘ভাই ওই ছেড়াডা (বিপ্লব) বিবাহিত। বেশ কয়েকটা পোলাপাইন আছে। তাছাড়া মেয়েডারও (কিশোরী) বয়স আইছে না। তাই কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ৫০ হাজার টাকা মেয়েডার হাতে তুলে দিলাম আর তাদের (সাংবাদিক) দিলাম তিন হাজার। এ বিষয়ে কিছু লিইখেন না। আপনার ব্যবস্থা করবাম।’
নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে এসআই রফিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এসআই রফিক বলেন, ‘ভাই এসে তো দেখি (সন্ধ্যা ৬টা ৫২) ফয়সালা হয়ে গেছে। এখন কেউ যদি অভিযোগ না করে আমরার কি করণীয় আছে। আগে জানালে ভালো হতো।’